ডেঙ্গু ঝুঁকিতে কুমিল্লা; আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১৮

নিউজ ডেস্ক।।
ঢাকার পার্শ্ববর্তী জেলা হয়েও কুমিল্লায় ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১৮ জন। ওই ১৮ জন ডেঙ্গু রোগীর মধ্যে কচুয়া,চাঁদপুর এবং হাজীগঞ্জ থেকে ৪ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। কুমিল্লার ১৮ টি উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এসে রোগী ভর্তি হয়েছে বলে জানিয়েছেন কুমেক হাসপাতালের পরিচালক ডাক্তার মো. আজিজুর রহমান সিদ্দিকী।

তিনি আরও বলেন, যে সকল রোগী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে তাদের অনেকে ঢাকায় গিয়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে কুমিল্লা শহরের রোগী নেই। কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের জন্য আলাদা ইউনিট করা হয়েছে। এমনকি পুরুষ ও মহিলাদের জন্য করা হয়েছে আলাদা আলাদা ইউনিট। কুমেকের ৭ তলায় করা হয়েছে নারীদের জন্য ডেঙ্গু ইউনিট এবং ৮ তলায় করা হয়েছে পুরুষদের ডেঙ্গু ইউনিট।

এদিকে গত বছরগুলোর তুলনায় কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনে দ্বিগুণ হারে মশার ঔষধ ছিটানো হবে বলে জানিয়েছেন কুমিল্লা সিটি মেয়র আরফানুল হক রিফাত।

কুমিল্লার ডেপুটি সার্জন ডা. নিসর্গ মেরাজ চৌধুরী জানান, কুমিল্লা নগরের বিভিন্ন এলাকায় এন্টোমোলজিক্যাল সার্ভে করা হয়েছে। এতে গতবারের তুলনায় নির্মাণাধীন ভবন এবং বাস স্ট্যান্ড এলাকাগুলোতে ডেঙ্গুর লার্ভা বা উপস্থিতি কম শনাক্ত হয়েছে। তারপরও বিভিন্ন উপজেলাগুলোতেও খোঁজ রাখা হচ্ছে কোথাও কোন রোগী সনাক্ত হচ্ছে কিনা। সার্ভের রিপোর্ট আগামী দু-একদিনের মধ্যে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনে পাঠিয়ে মশক নিধনের জন্য ব্যবস্থা নিতে কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।

তিনি আরো বলেন, কুমিল্লায় ডেঙ্গু নিয়ে ঝুঁকি থাকলেও এখনো পর্যন্ত যেহেতু কোনো স্থানীয় সনাক্ত রোগী পাওয়া যায়নি তাই মোটামুটি আর আস্বস্ত থাকা যাচ্ছে।

এদিকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডেঙ্গু ওয়ার্ডে ১৮ জন রোগী ভর্তি ছিলেন। কুমিল্লা মেডিকেলের পরিচালক ডা. আজিজুর রহমান সিদ্দিকী জানান, তাদের কেউই স্থানীয়ভাবে সনাক্ত হয়নি। ঢাকা কিংবা আশেপাশের জেলা থেকে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে তারা কুমিল্লায় এসে চিকিৎসা নিচ্ছে।

তিনি জানান, ডেঙ্গু সংক্রমণ প্রতিরোধে সারাদেশের মত কুমিল্লাতেও প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। একটি ডেঙ্গুওয়ার্ড খুলে সেখানে নারী ও পুরুষের জন্য আলাদা ইউনিট রাখা হয়েছে। ডেঙ্গু পরীক্ষা ও চিকিৎসার জন্য সকল ব্যবস্থা সহজলভ্য করা আছে কুমিল্লা মেডিকেলে।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, বর্তমানে ডেঙ্গুর যেসব উপসর্গ রয়েছে তা খুবই হালকা, কিন্তু খুবই ঝুঁকিপূর্ন। যে কারণেই জ্বর হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে চিকিৎসা শুরু করা প্রয়োজন বলে অনুরোধ করেছেন স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্টরা।

ডা. আজিজুর রহমান সিদ্দিকী বলেন, ডেঙ্গু নিয়ে পেনিক সৃষ্টি না করে জ্বর হলে নিকটস্থ কর ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া ভালো। এতে ডাক্তাররাই বলে দিতে পারবেন ডেঙ্গু পরীক্ষা করা প্রয়োজন আছে কি নাই।

কুমিল্লা সিটি মেয়র আরফানুল হক রিফাত জানান, ডেঙ্গু প্রতিরোধে আজ থেকে বড় পরিসরে কাজ করবে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন। গত বছরগুলোর তুলনায় দ্বিগুণ হারে ছিটানো হবে মশার ঔষধ। সিটি কর্পোরেশনের ২৭ টি ওয়ার্ডে মশক নিধন কার্যক্রম নিরবিচ্ছিন্নভাবে চলতে থাকবে।

জেলা সিভিল সার্জন নাছিমা আকতার জানান, কুমিল্লা শহরের কোনো লোক এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়নি। বেশির ভাগ লোক অন্যান্য উপজেলার থেকে কুমেকে চিকিৎসা নিচ্ছে। সিভিল সার্জন আরও জানান কুমিল্লার ডেঙ্গু পরিস্থিতি আমরা সার্বক্ষণিক মনিটরিং করছি। কুমিল্লাবাসীকে ডেঙ্গু নিয়ে আতংকিত না হয়ে তিনি ডেঙ্গু সম্পর্কে সচেতন হতে আহ্বান জানিয়েছেন।

     আরো দেখুন:

পুরাতন খবর

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১

You cannot copy content of this page